Tuesday 25 October 2011

Google algorithm update Jagger (SEO)

This week we discuss the latest Google update, how it might affect your site, and how you can recover if your site lost its position as a result of this update.(Google Absence information?? click hear.)
The Jagger update started over a month ago and lasted 3 weeks. The update included updating the PageRank of all spidered pages, updating the number of backlinks and most importantly, changing the way Google ranked web sites for any search query. The key features and effects of this update are highlighted below:

How do we know Google is updating its algorithm?

Most algorithm updates, whether on Google, Yahoo!, MSN or any other search engine, are characterised by sudden, drastic and often frequent changes on the search results pages for any search query. During the Jagger update, the folks at Google were kind enough to warn us a few days into the update that we were witnessing an update!

What has happened as a result of the Google Jagger update?


Underneath the superficial changes in search results, the Jagger update has had a serious effect on the way companies use search engine optimization to influence ranks. Numerous search engine optimisation experts have theorized on these effects. The most commonly agreed upon conclusions are:
• Search engine optimisation has become more difficult than ever!
• Older sites are given more recognition
• Authority sites (e.g. BBC, NHS) are given more recognition
• Government and Educational institutions are considered more important
• Links from authority sites, government and educational institutions count
• Older, longer-term inbound links are given more importance
• Outbound links to authority sites are considered good
• Relevance of links is very important
• Sites with more pages containing useful information rank better
• Up-to-date content is valued more

How does Google now value reciprocal links?

There are two aspects to consider for reciprocal links. First, Google considers artificial link building with the aim of influencing rank to be a form of spam, and so if it detects unnatural linking patterns, such as links obtained from link farms or link exchanges between irrelevant sites, it will penalize both the sites for this. Second, inbound links are increasingly weighed in importance according to the relevance of the page and the site where the link originates from to the page it is linking to. So, a link from a gambling site to a site about corrective surgery will be considered almost useless. The only type of reciprocal link building that is encouraged is between related companies in an industry e.g. between theatres and ticket agents or between two ticket agent


How do age of site and age of links influence ranking?

Google does not want spam domains to rank high on a results page, make a quick buck out of their top position and then disappear. As a result it imposes ageing delays on domains and now even on links. Sites which have been around for a while will rank higher. What this means from a search engine optimisation point of view is that it will take longer to see results of direct optimisation and it will also take longer to see the results of any link development work. Search engine optimisation work on new sites can take as much as 9 months to start yielding results for competitive keyphrases.

Relevance... of everything!

Google's success was based on the relevance of the web sites it found for any user query. Therefore it should come as no surprise that their current algorithm goes a few steps further in rewarding relevance ... of everything - of inbound and outbound links to and from a site, titles and headings to actual page content, page content to the rest of the site and so on.

Recovering from Jagger

If your site has been affected, go through the list of features of the Jagger update, and check if your site might have been struck due to any one of those changes in the search engine ranking algorithm. Re-optimise your site for the search engines by removing any offending content and links and immerse yourself in obtaining more relevant inbound links.
If you need any further help or guidance please contact us.
Other articles to read:
• Google Analytics for SEM
• Link development & Spam m

Tuesday 11 October 2011

গুগল এডসেন্স পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য উপার্জনের সাইট

গুগল এডসেন্স পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য উপার্জনের সাইট .এখানে একটা এ্যাকাউন্ট পাওয়া সোনার হরিন পাওয়ার সমতুল্য মনে করি সবাই .আসলে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য দীর্ঘ ২ বত্সার এর পিছনে লেগে ছিলাম. টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছি তবু পারিনি. পরে অবশ্য নিজের চেষ্টায় দেখা পেয়েছি সোনার হরিনের ।
যারা এডসেন্স একাউন্ট সহজে পেতে চান তারা www.google.com/adsense আবেদন করার সময়
কয়েকটি বিষয় খেয়াল করুন তবেই হয়ে যাবে
• ১. আপনি যদি ঢাকার বাইরে থাকেন.তবে অবশ্যই ঢাকার মধ্য থাকে এমন বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন . সম্ভব হলে ১০০০ বা ১২৩০ এই পোষ্টকোডের ঠিকানা ব্যবহার করুন। ভুলেও মফস্বলের ঠিকানা ব্যবহার করবেন না। একাউন্ট এপ্রোভ হওয়ার সাথে সাথে আপনার ঠিকানা পাল্টাতে পারেন পোষ্টকোড সহ।
• ২. বাংলা কন্টেন থাকলে পুরোটাই ইংরেজী করুন ।
• ৩.সাবডোমেইন ব্যবহার করবেন না ,একটু কষ্ট হলেও আপনার পরিচিত কাউকে ধরে একটা ডোমেইন কিনে ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসে সাইট বানাতে পারেন । ভুলেও co.cc ডোমেইন ব্যবহার করবেন না। কারন ইতিমধ্য গুগল এডসেন্স co.cc সাইটে ব্যান করতে শুরু করেছে ,তাদের সার্চ ইন্জিন থেকেও ব্যান করেছে । (অনেকেই সাবডোমেইন দিয়ে পেয়েছে, তবে বর্তমানে না সম্ভবনা বেশী)
• ৪.সুন্দর করে সাইটের পেজ গুলো বানান যেমনঃ About us . contact us .privacy policy ও Copyright বিষয়ে ।
• ৫.যদি উপরের নিয়ম আবেদন করে থাকেন .তবে গুগল এডসেন্স থেকে ডোমেইন ভেরীফাই করতে বলা হতে পারে এজন্য আপনার পাবলিশার নাম্বারসহ আরো কয়েকটি ওয়ার্ড যোগ করে দিবে যা দিয়ে পরবর্তীতে একটা পেজ বানাতে হবে এই শিরোনামে “This post my domain ownership” তারপর এই পেজের লিংক দিয়ে আবার সাবমিট করুন ।
এগুলো ঠিক থাকলে নিশ্চিতে আবেদন করুন, তবেই আমার মতো দুই বত্সaর ঘুরতে হবেনা ।তার প্রমান এগুলো মেনে আমার বন্ধুর জন্য আবেদন করেছিলাম মাত্র ৩ দিন লেগেছিল এপ্রোভ হতে ।কিন্তু বন্ধুটি ডলারের লোভ সামলাতে না পেরে প্রক্সি ব্যবহার করে নিজে ও বন্ধুদের দিয়ে ক্লীক করিয়ে ৭দিনে ৬০ ডলার কামিয়েছিল পরে অবশ্য ৮দিন পরে নিজের মাথায় হাতে দিয়েছিল কারন গুগল মামা ইতিমধ্য তাকে ব্যানড করে দিয়েছে ।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো অন্য সাইটদিয়ে তার জন্য পরবর্তীতে আবার যখন আবেদন করেছিলাম মাত্র ২ঘন্টায় এপ্রোভ হয়েছিল । যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে-
যদি আপনার গুগল এডসেন্স এপ্রোভ হয়ে থাকে তবে ভুলেও এই কাজ গুলো করবেন না
• ১.কখনো আপনার পিসি থেকে আপনার এড ক্লীক করবেন না ।
• ২.কখনো এক আইপি বা পিসি দিয়ে একাধিক এডসেন্সে লগ ইন করবেন না ।
• ৩.বন্ধুদের দিয়ে একটা বেশী ক্লীক করাবেন না ।
• ৪.সাইটে এডাল্ট কনটেন যুক্ত করবেন না ।
• ৫.বেশী ভিজিটর পাওয়ার লোভে বিভিন্ন কমিউনিটি বা সামাজিক সাইটে লিংক শেয়ার করবেন না (তাতে ক্ষতি হতে পারে উপকার নয়)
অনেকে বলেন তাহলে ভিজিটর পাবো কিভাবে বা আয় কিভাবে হবে ?
• উঃ ভিজিটর পেতে প্রচুর পোষ্ট করতে হবে . শুধু অন্ধের মত পোষ্ট করলেই চলবেনা .এজন্য গুগল এডসেন্সকে খেয়াল করতে হবে যে কি ধরনের পোষ্ট বেশী সার্চ হচ্ছে ঐ বিষয় গুলো নিয়ে পোষ্ট লিখুন ।
• একজন বাংলাদেশী ভিজিটরের চেয়ে একজন আমেরিকান ভিজিটরের ক্লীকের মূল্য অনেক বেশী তাই যাতে ওদের বেশী আকৃষ্ট করা যায় এদিক খেয়াল রাখতে হবে ।
• আপনার সাইটটি পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন যাতে ভিজিটর সহজেই এডের প্রতি আকৃষ্ট হয় .অনেক সাইট দেখেছি যারা বেশী উইজেট ব্যবহার করে সাইট অপরিছন্ন করে রাখে।
গুগল এডসেন্স নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক লেখা ইতিমধ্য আছে. আমি আমার মত করে লিখলাম যাতে নতুনদের কাজে লাগে । অনুরোধ রইল অনুমতি ব্যতীত কেউ আমার ধারাবাহিক লেখা কেউ কপি করবেন না .ইতিপূর্বে যারা আমার টিউনস কপি করেছেন তারা এবার সাবধান থাকুন। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন আমার জন্য করে দিন ,ভাই এটা আপনি নিজেই করতে পারবেন উপরের বিষয়গুলো খেয়াল করুন .আর আমার পিসি থেকে একাধিক আইডি লগিন করিনা ।
আপনার এডসেন্স একাউন্ট নিয়মিত চেক করুন . যখন আপনার গুগল এ্যাডসেনস ১০ ডলার জমা হবে তখনি গুগল আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করতে একটি কার্ড পাঠাবে যাতে একটি পিন নাম্বার দেয়া থাকবে ।এখন অটোমেটিক ভাবে আপনার গুগল এডসেন্স ড্যাশবোর্ডে একাউন্ট হোল্ড করার বার্তা প্রর্দশন করবে ,আর যদি আপনি এডসেন্স চেক পেতে চান অবশ্যই হোল্ড রিমুভ করতে হবে ।
আসুন দেখি কিভাবে গুগল এডসেন্স হোল্ড রিমুভ করতে হয় ?
আগেই বলেছি যখন আপনার একাউন্টে হোল্ড বার্তা দেয়া হয়েছে তখনি আপনাকে পিন নাম্বার পাঠানো হয়েছে .যা আপনি ২০ থেকে ২৮ দিনের মধ্য হাতে পাবার কথা । এবার গুগল এডসেন্সে লগইন করে হোল্ড লেখা বা মাই একাউন্ট ক্লীক করুন ও আপনার কাছে আসা পিন নাম্বাটি প্রবেশ করুন .মনে রাখবেন তিনবার ভুন পিন প্রবেশ করলে একাউন্ট ব্যানড করে দিবে ।
আমার কাছে পাঠানো প্রথম পিনটি আমি পাইনি .এজন্য আবার পিন নাম্বারের জন্য আবেদন করেছি (পর পর ৩বার পিন নাম্বারের জন্য আবেদন করতে পারবেন)যদি তিন বার আবেদন করে পিন না পান তবে আমার গুরু শাকিল আরেফিন ভাইয়ের মতে ম্যানুয়ালি করতে হবে তাহলো এডসেন্স সাপোর্ট সেন্টারে মেইল করে বলুন স্থানীয় পোষ্ট সমস্যায় আমি পিনটি পাইনি .দেখবেন ওরা আপনাকে ম্যানুয়ালি করতে মেইল পাঠিয়েছে ব্যস আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র স্ক্যান করে ঐ মেইলে এটাচ করে রিপ্লাই করুন এবার পিনের কাজ শেষ। হোল্ড রিমুভ করতে আরো ২টা অপশন সম্পন্ন করতে হবে ।
এবার আপনি কিভাবে আপনার চেক আনতে চান
• A.ষ্ট্যান্ডাড ডেলিভারী, B.সিকিউরিটি ডেলিভারি - তা মার্ক করে কনফার্ম করুন। সিকিউরিটি ডেলিভারি হলো আপনি ৭ দিনের মধ্যে DHL কুরিয়ারে চেক হাতে পাবেন এজন্য ২৮ ডলার চার্জ দিতে হবে ।
• ষ্ট্যান্ডাড ডেলিভারী - ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্য চেক হাতে পাবেন ডাকযোগে এজন্য কোন চার্জ নেই ।
• সবশেষ ধাপ - আপনার ট্যাক্স ইনফরমেশন চাইবে। ইউএস, নন ইউএস
• আপনি নন ইউএস, সিলেক্ট করুন পরিবর্তীতে ভালভাবে বুঝে সব অপশনে শুধু NO মার্ক করুন ।
• এজন্য বুঝে দিবেন ,মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে পারে ।
• কনর্ফাম করলে আপনাকে একটি এইমর্মে পেজ দিবে সাক্ষর করতে যে আমি কোন ভাবেই আমেরিকার সাথে ব্যবসায়িক বা অন্যকোন ভাবে জড়িত নই ।
• এবার আপনার একাউন্ট যে নাম আছে তা লিখুন। যেমন আমার একাউন্ট নাম Md Rubel Ahmed. আমি এভাবে লিখে জমা দিয়েছি । এবার দেখুন আপনার হোল্ড লেখা আর নেই ।
কিভাবে আয় করবেন ?
আয় করতে হলে অবশ্যই কাজ জানতে হবে বা শিখতে হবে ।
কি কাজ করবেন ?
আমি মূলত ওয়েবে এড পাবলিশ করে উপার্জন করি । ওয়েবে এড পাবলিশ করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারেন । দুইটা ধরনের কাজ ফ্রীল্যান্সিং কাজ করতে চাইলে ওয়েব ডিজাইন .গ্রাফিক্স . ও seo বিষয়ে কাজ জানলেই চলবে বাকী কাজগুলো ধীরে ধীরে শিখতে পারবেন । আর এজন্য www.freelancer.com বা www.odesk.com নিশ্চিতে বিড করে কাজ নিতে পারেন .আর যাই হোক এরা কখনো আপনার উপার্জনের টাকা মেরে খাবেনা ।
এডপাবলিশ করার ক্ষেত্রে মূলত নিজের একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে .আর ওয়েবসাইট টি সুন্দর সুন্দর কন্টেন দিয়ে সাজাতে হবে যাতে ভিজিটরকে আকৃষ্ট করানো যায় নিয়মিত আপনার সাইট ভিজিট করতে .আর এ ক্ষেত্রে Google adsense সবার চাইতে এগিয়ে তারপর যার স্থান সে হলো bidvertiser আরো আছে Adbrite .chitika এরা কখনো আপনার আয়ের টাকা মেরে খাবেনা এ নিশ্চয়তা আছে ।
আর ওয়েবে কিভাবে এডপাবলিশ করবেন তা নিয়ে ইতিমধ্য ধারাবাহিক টিউন লিখছি । আরো কয়েকটি উপায়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন যেমন sedo ডোমেইন পার্ক করে উপার্জন করতে পারেন আর এজন্য আপনার নিজস্ব ডোমেইন থাকতে হবে । আর যারা একে বারে নতুন তাদের জন্য আছে microworkers
আমি এতক্ষন যাদের কথা বললাম তারা কোনদিন আপনার উর্পাজনের টাকা মেরে খাওয়া সম্ভবনা নেই ।
তারা কেন আপনাকে টাকা দিবে ?
তার উত্তর আপনি একটু ভেবে দেখলে পেয়ে যাবেন ।
যেমন ফ্রীল্যান্সার সাইটগুলো কথা বলতে চাই .যেমন একটা ওয়েবসাইট যদি ইউরোপ বা আমেরিকার ডেভলপার দিয়ে করাতে চায় সেখানে খরচ পড়ে ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার .আর একই কাজ যদি এশিয়া থেকে মানে বাংলাদেশ.ভারত .পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়া থেকে করানো যায় তবে সর্ব্বোচ ৮০০ ডলার দিলেই তাদের কাজ সম্পন্ন.আর আমরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই । এতো গেলো ফ্রীল্যান্সাদের গল্প ।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে এডপাবলিশ করা থেকে কেনো টাকা দিবে ?
দাদার দাদার আমলে গেছে কলের গান .দাদার আমলে রেডিও .বাবার আমলে গেছে টেলিভিশন আর আমাদের আমলে পৃথিবীটা ছোট হয়ে ইন্টারনেটে সীমাবদ্ধ হয়েছে তাই দাদার আমলে রেডিওতে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে তাহলে আপনার আমলে বিজ্ঞাপন দাতারা ওয়েবসাইটে বিঞ্জপন দিবেনা তা কি করে হয় বলুন ?ওয়েবে বিজ্ঞাপনে একদিকে যেমন তাদের পন্য বিশ্বজুড়ে প্রচার পাচ্ছে তেমনি পেপাল বা ক্রেডিট কার্ডে থাকছে সাথে সাথেই পন্য বিক্রয় করার সুযোগ ।
আর এজন্য সহজ এ মাধ্যম টিকে বেছে নিয়েছে বিজ্ঞাপন দাতারা । তবে বাংলাদেশে পেপাল সুবিধা নেই তাই তারা কোন পন্য বিক্রয় করার সম্ভবনা নেই তাই বাংলাদেশীরা এড ক্লীক করলে খুব একটা দাম পাওয়া যায়না শুধুমাত্র প্রচার মূল্য দেয় ।
To know about bangladeshi scientest click here.

Tuesday 4 October 2011

ব্রেইল সফটওয়্যার নিয়ে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী

বর্তমানে যে ব্রেইল পদ্ধতিতে অন্ধরা পড়াশোনা করে থাকে তার উদ্ভাবন ১৮২৫ সালে। ফ্রান্সের এক অন্ধ ব্যক্তি লুইস ব্রেইল এটি আবিষ্কার করেন এবং পরে এটার উন্নয়ন ঘটে।বাংলা ভাষায় ব্রেইলের ব্যবহার আরো একধাপ এগিয়ে গেল। এটি সম্ভব হয়েছে এক ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এ সফটওয়্যার সরাসরি বাংলা থেকে ব্রেইলে অনুবাদ করে দেবে ভাষাকে। এতে দেশে ব্রেইলের বইয়ের যে অভাব রয়েছে তা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলা থেকে ব্রেইলে অনুবাদের এ যুগান্তকারী আবিষ্কারটি করেছেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ব্রেইলের এ সফটওয়্যারের কল্যাণে এ সংক্রান্ত বই সহজে কম খরচে এখন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের এ আবিষ্কারটি সমপ্রতি ঢাকার ধানম-িতে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়। এই সেমিনারের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক সোসাইটি। এ সেমিনারের সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান এবং প্রধান অতিথি ছিলেন ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আমিনুল ইসলাম।
এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেফোডিল ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. ফখরে হাসান, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. ফজলুল হক, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও গবেষকরা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ড. আনোয়ার হোসেন যে বিষয়টিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন তার প্রবন্ধে তা হলো_ স্বাভাবিক মানুষের জন্য লেখা বই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা পড়তে পারে না। এ জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল বই। এ ডিজিটাল বইয়ের মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা পড়তে সক্ষম হবে।
বর্তমানে যে ব্রেইল পদ্ধতিতে অন্ধরা পড়াশোনা করে থাকে তার উদ্ভাবন ১৮২৫ সালে। ফ্রান্সের এক অন্ধ ব্যক্তি লুইস ব্রেইল এটি আবিষ্কার করেন এবং পরে এটার উন্নয়ন ঘটে। ব্রেইল যে পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেন তার অনুপ্রেরণা আসে নেপোলিয়নের সময়ে চার্লস বারবিয়েরের মাধ্যমে। বারবিয়ের এক ধরনের চিহ্নভিত্তিক ভাষা বের করেন যেটি নিশ্চুপে বা রাতে সৈন্যরা একে অপরের কাছে পাঠাতে পারে। হাতের স্পর্শের মাধ্যমে বিভিন্ন ডট দিয়ে এ ভাষা বোঝা যেত। এ ভাষার নাম ছিল নাইট লেখনি। পরে বারবিয়েরের নাইট লেখনিকে মডিফাইড করে ব্রেইল সৃষ্টি করেন ব্রেইল সিস্টেম।
এ ব্রেইল সিস্টেম এখনো অন্ধদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভাষা ব্যবস্থা। স্পর্শের মাধ্যমে উপলব্ধি করার এ পদ্ধতি আসলেই অসাধারণ।
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে সব বইয়েরই ব্রেইল সংস্করণ পাওয়া যায় না। আর যে কোনো বইয়ের ব্রেইল সংস্করণের মূল্যও একটু বেশি। তাই ড. আনোয়ার হোসেন যে কোনো বইয়ের ব্রেইলে রূপান্তরের যে সফটওয়্যার আবিষ্কার করেছেন তা সত্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলা থেকে ব্রেইলে রূপান্তরের এ পদ্ধতি চেষ্টা করলে অন্য যে কোনো ভাষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে আশা করা যায়।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের এ পদ্ধতির যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তাতে বলা যায় এটি অদূর ভবিষ্যতে অন্ধদের জন্য পড়াশোনা করার এক অপার দুয়ার খুলে দেবে। ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সেমিনারে সভাপতি এবং প্রধান অতিথিও একই ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এ পদ্ধতির সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবার পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।