Tuesday, 11 October 2011

গুগল এডসেন্স পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য উপার্জনের সাইট

গুগল এডসেন্স পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য উপার্জনের সাইট .এখানে একটা এ্যাকাউন্ট পাওয়া সোনার হরিন পাওয়ার সমতুল্য মনে করি সবাই .আসলে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য দীর্ঘ ২ বত্সার এর পিছনে লেগে ছিলাম. টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছি তবু পারিনি. পরে অবশ্য নিজের চেষ্টায় দেখা পেয়েছি সোনার হরিনের ।
যারা এডসেন্স একাউন্ট সহজে পেতে চান তারা www.google.com/adsense আবেদন করার সময়
কয়েকটি বিষয় খেয়াল করুন তবেই হয়ে যাবে
• ১. আপনি যদি ঢাকার বাইরে থাকেন.তবে অবশ্যই ঢাকার মধ্য থাকে এমন বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন . সম্ভব হলে ১০০০ বা ১২৩০ এই পোষ্টকোডের ঠিকানা ব্যবহার করুন। ভুলেও মফস্বলের ঠিকানা ব্যবহার করবেন না। একাউন্ট এপ্রোভ হওয়ার সাথে সাথে আপনার ঠিকানা পাল্টাতে পারেন পোষ্টকোড সহ।
• ২. বাংলা কন্টেন থাকলে পুরোটাই ইংরেজী করুন ।
• ৩.সাবডোমেইন ব্যবহার করবেন না ,একটু কষ্ট হলেও আপনার পরিচিত কাউকে ধরে একটা ডোমেইন কিনে ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসে সাইট বানাতে পারেন । ভুলেও co.cc ডোমেইন ব্যবহার করবেন না। কারন ইতিমধ্য গুগল এডসেন্স co.cc সাইটে ব্যান করতে শুরু করেছে ,তাদের সার্চ ইন্জিন থেকেও ব্যান করেছে । (অনেকেই সাবডোমেইন দিয়ে পেয়েছে, তবে বর্তমানে না সম্ভবনা বেশী)
• ৪.সুন্দর করে সাইটের পেজ গুলো বানান যেমনঃ About us . contact us .privacy policy ও Copyright বিষয়ে ।
• ৫.যদি উপরের নিয়ম আবেদন করে থাকেন .তবে গুগল এডসেন্স থেকে ডোমেইন ভেরীফাই করতে বলা হতে পারে এজন্য আপনার পাবলিশার নাম্বারসহ আরো কয়েকটি ওয়ার্ড যোগ করে দিবে যা দিয়ে পরবর্তীতে একটা পেজ বানাতে হবে এই শিরোনামে “This post my domain ownership” তারপর এই পেজের লিংক দিয়ে আবার সাবমিট করুন ।
এগুলো ঠিক থাকলে নিশ্চিতে আবেদন করুন, তবেই আমার মতো দুই বত্সaর ঘুরতে হবেনা ।তার প্রমান এগুলো মেনে আমার বন্ধুর জন্য আবেদন করেছিলাম মাত্র ৩ দিন লেগেছিল এপ্রোভ হতে ।কিন্তু বন্ধুটি ডলারের লোভ সামলাতে না পেরে প্রক্সি ব্যবহার করে নিজে ও বন্ধুদের দিয়ে ক্লীক করিয়ে ৭দিনে ৬০ ডলার কামিয়েছিল পরে অবশ্য ৮দিন পরে নিজের মাথায় হাতে দিয়েছিল কারন গুগল মামা ইতিমধ্য তাকে ব্যানড করে দিয়েছে ।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো অন্য সাইটদিয়ে তার জন্য পরবর্তীতে আবার যখন আবেদন করেছিলাম মাত্র ২ঘন্টায় এপ্রোভ হয়েছিল । যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে-
যদি আপনার গুগল এডসেন্স এপ্রোভ হয়ে থাকে তবে ভুলেও এই কাজ গুলো করবেন না
• ১.কখনো আপনার পিসি থেকে আপনার এড ক্লীক করবেন না ।
• ২.কখনো এক আইপি বা পিসি দিয়ে একাধিক এডসেন্সে লগ ইন করবেন না ।
• ৩.বন্ধুদের দিয়ে একটা বেশী ক্লীক করাবেন না ।
• ৪.সাইটে এডাল্ট কনটেন যুক্ত করবেন না ।
• ৫.বেশী ভিজিটর পাওয়ার লোভে বিভিন্ন কমিউনিটি বা সামাজিক সাইটে লিংক শেয়ার করবেন না (তাতে ক্ষতি হতে পারে উপকার নয়)
অনেকে বলেন তাহলে ভিজিটর পাবো কিভাবে বা আয় কিভাবে হবে ?
• উঃ ভিজিটর পেতে প্রচুর পোষ্ট করতে হবে . শুধু অন্ধের মত পোষ্ট করলেই চলবেনা .এজন্য গুগল এডসেন্সকে খেয়াল করতে হবে যে কি ধরনের পোষ্ট বেশী সার্চ হচ্ছে ঐ বিষয় গুলো নিয়ে পোষ্ট লিখুন ।
• একজন বাংলাদেশী ভিজিটরের চেয়ে একজন আমেরিকান ভিজিটরের ক্লীকের মূল্য অনেক বেশী তাই যাতে ওদের বেশী আকৃষ্ট করা যায় এদিক খেয়াল রাখতে হবে ।
• আপনার সাইটটি পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন যাতে ভিজিটর সহজেই এডের প্রতি আকৃষ্ট হয় .অনেক সাইট দেখেছি যারা বেশী উইজেট ব্যবহার করে সাইট অপরিছন্ন করে রাখে।
গুগল এডসেন্স নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক লেখা ইতিমধ্য আছে. আমি আমার মত করে লিখলাম যাতে নতুনদের কাজে লাগে । অনুরোধ রইল অনুমতি ব্যতীত কেউ আমার ধারাবাহিক লেখা কেউ কপি করবেন না .ইতিপূর্বে যারা আমার টিউনস কপি করেছেন তারা এবার সাবধান থাকুন। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন আমার জন্য করে দিন ,ভাই এটা আপনি নিজেই করতে পারবেন উপরের বিষয়গুলো খেয়াল করুন .আর আমার পিসি থেকে একাধিক আইডি লগিন করিনা ।
আপনার এডসেন্স একাউন্ট নিয়মিত চেক করুন . যখন আপনার গুগল এ্যাডসেনস ১০ ডলার জমা হবে তখনি গুগল আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করতে একটি কার্ড পাঠাবে যাতে একটি পিন নাম্বার দেয়া থাকবে ।এখন অটোমেটিক ভাবে আপনার গুগল এডসেন্স ড্যাশবোর্ডে একাউন্ট হোল্ড করার বার্তা প্রর্দশন করবে ,আর যদি আপনি এডসেন্স চেক পেতে চান অবশ্যই হোল্ড রিমুভ করতে হবে ।
আসুন দেখি কিভাবে গুগল এডসেন্স হোল্ড রিমুভ করতে হয় ?
আগেই বলেছি যখন আপনার একাউন্টে হোল্ড বার্তা দেয়া হয়েছে তখনি আপনাকে পিন নাম্বার পাঠানো হয়েছে .যা আপনি ২০ থেকে ২৮ দিনের মধ্য হাতে পাবার কথা । এবার গুগল এডসেন্সে লগইন করে হোল্ড লেখা বা মাই একাউন্ট ক্লীক করুন ও আপনার কাছে আসা পিন নাম্বাটি প্রবেশ করুন .মনে রাখবেন তিনবার ভুন পিন প্রবেশ করলে একাউন্ট ব্যানড করে দিবে ।
আমার কাছে পাঠানো প্রথম পিনটি আমি পাইনি .এজন্য আবার পিন নাম্বারের জন্য আবেদন করেছি (পর পর ৩বার পিন নাম্বারের জন্য আবেদন করতে পারবেন)যদি তিন বার আবেদন করে পিন না পান তবে আমার গুরু শাকিল আরেফিন ভাইয়ের মতে ম্যানুয়ালি করতে হবে তাহলো এডসেন্স সাপোর্ট সেন্টারে মেইল করে বলুন স্থানীয় পোষ্ট সমস্যায় আমি পিনটি পাইনি .দেখবেন ওরা আপনাকে ম্যানুয়ালি করতে মেইল পাঠিয়েছে ব্যস আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র স্ক্যান করে ঐ মেইলে এটাচ করে রিপ্লাই করুন এবার পিনের কাজ শেষ। হোল্ড রিমুভ করতে আরো ২টা অপশন সম্পন্ন করতে হবে ।
এবার আপনি কিভাবে আপনার চেক আনতে চান
• A.ষ্ট্যান্ডাড ডেলিভারী, B.সিকিউরিটি ডেলিভারি - তা মার্ক করে কনফার্ম করুন। সিকিউরিটি ডেলিভারি হলো আপনি ৭ দিনের মধ্যে DHL কুরিয়ারে চেক হাতে পাবেন এজন্য ২৮ ডলার চার্জ দিতে হবে ।
• ষ্ট্যান্ডাড ডেলিভারী - ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্য চেক হাতে পাবেন ডাকযোগে এজন্য কোন চার্জ নেই ।
• সবশেষ ধাপ - আপনার ট্যাক্স ইনফরমেশন চাইবে। ইউএস, নন ইউএস
• আপনি নন ইউএস, সিলেক্ট করুন পরিবর্তীতে ভালভাবে বুঝে সব অপশনে শুধু NO মার্ক করুন ।
• এজন্য বুঝে দিবেন ,মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে পারে ।
• কনর্ফাম করলে আপনাকে একটি এইমর্মে পেজ দিবে সাক্ষর করতে যে আমি কোন ভাবেই আমেরিকার সাথে ব্যবসায়িক বা অন্যকোন ভাবে জড়িত নই ।
• এবার আপনার একাউন্ট যে নাম আছে তা লিখুন। যেমন আমার একাউন্ট নাম Md Rubel Ahmed. আমি এভাবে লিখে জমা দিয়েছি । এবার দেখুন আপনার হোল্ড লেখা আর নেই ।
কিভাবে আয় করবেন ?
আয় করতে হলে অবশ্যই কাজ জানতে হবে বা শিখতে হবে ।
কি কাজ করবেন ?
আমি মূলত ওয়েবে এড পাবলিশ করে উপার্জন করি । ওয়েবে এড পাবলিশ করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারেন । দুইটা ধরনের কাজ ফ্রীল্যান্সিং কাজ করতে চাইলে ওয়েব ডিজাইন .গ্রাফিক্স . ও seo বিষয়ে কাজ জানলেই চলবে বাকী কাজগুলো ধীরে ধীরে শিখতে পারবেন । আর এজন্য www.freelancer.com বা www.odesk.com নিশ্চিতে বিড করে কাজ নিতে পারেন .আর যাই হোক এরা কখনো আপনার উপার্জনের টাকা মেরে খাবেনা ।
এডপাবলিশ করার ক্ষেত্রে মূলত নিজের একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে .আর ওয়েবসাইট টি সুন্দর সুন্দর কন্টেন দিয়ে সাজাতে হবে যাতে ভিজিটরকে আকৃষ্ট করানো যায় নিয়মিত আপনার সাইট ভিজিট করতে .আর এ ক্ষেত্রে Google adsense সবার চাইতে এগিয়ে তারপর যার স্থান সে হলো bidvertiser আরো আছে Adbrite .chitika এরা কখনো আপনার আয়ের টাকা মেরে খাবেনা এ নিশ্চয়তা আছে ।
আর ওয়েবে কিভাবে এডপাবলিশ করবেন তা নিয়ে ইতিমধ্য ধারাবাহিক টিউন লিখছি । আরো কয়েকটি উপায়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন যেমন sedo ডোমেইন পার্ক করে উপার্জন করতে পারেন আর এজন্য আপনার নিজস্ব ডোমেইন থাকতে হবে । আর যারা একে বারে নতুন তাদের জন্য আছে microworkers
আমি এতক্ষন যাদের কথা বললাম তারা কোনদিন আপনার উর্পাজনের টাকা মেরে খাওয়া সম্ভবনা নেই ।
তারা কেন আপনাকে টাকা দিবে ?
তার উত্তর আপনি একটু ভেবে দেখলে পেয়ে যাবেন ।
যেমন ফ্রীল্যান্সার সাইটগুলো কথা বলতে চাই .যেমন একটা ওয়েবসাইট যদি ইউরোপ বা আমেরিকার ডেভলপার দিয়ে করাতে চায় সেখানে খরচ পড়ে ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার .আর একই কাজ যদি এশিয়া থেকে মানে বাংলাদেশ.ভারত .পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়া থেকে করানো যায় তবে সর্ব্বোচ ৮০০ ডলার দিলেই তাদের কাজ সম্পন্ন.আর আমরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই । এতো গেলো ফ্রীল্যান্সাদের গল্প ।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে এডপাবলিশ করা থেকে কেনো টাকা দিবে ?
দাদার দাদার আমলে গেছে কলের গান .দাদার আমলে রেডিও .বাবার আমলে গেছে টেলিভিশন আর আমাদের আমলে পৃথিবীটা ছোট হয়ে ইন্টারনেটে সীমাবদ্ধ হয়েছে তাই দাদার আমলে রেডিওতে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে তাহলে আপনার আমলে বিজ্ঞাপন দাতারা ওয়েবসাইটে বিঞ্জপন দিবেনা তা কি করে হয় বলুন ?ওয়েবে বিজ্ঞাপনে একদিকে যেমন তাদের পন্য বিশ্বজুড়ে প্রচার পাচ্ছে তেমনি পেপাল বা ক্রেডিট কার্ডে থাকছে সাথে সাথেই পন্য বিক্রয় করার সুযোগ ।
আর এজন্য সহজ এ মাধ্যম টিকে বেছে নিয়েছে বিজ্ঞাপন দাতারা । তবে বাংলাদেশে পেপাল সুবিধা নেই তাই তারা কোন পন্য বিক্রয় করার সম্ভবনা নেই তাই বাংলাদেশীরা এড ক্লীক করলে খুব একটা দাম পাওয়া যায়না শুধুমাত্র প্রচার মূল্য দেয় ।
To know about bangladeshi scientest click here.

No comments:

Post a Comment